দুই প্রান্তিকে মাছ রপ্তানিতে আয় ২৩১৯ কোটি টাকা; চিংড়িতে ৮৮%

shrimp Export


চলতি ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২৯ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ২ হাজার ৩১৯ কোটি টাকা। এর মধ্যে শুধু চিংড়ি রপ্তানিতে আয় হয়েছে ২৫ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার বা প্রায় ২ হাজার ৪৩ কোটি টাকা; যা মোট রপ্তানি আয়ের ৮৮ দশমিক ১২ শতাংশ।
বাংলাদেশ রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) জানুয়ারি মাসে প্রকাশিত হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। এতে আরও জানানো হয়েছে, ২০১৫-১৬ অর্থবছরে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ৫৩ কোটি ৫৭ লাখ ৭০ হাজার মার্কিন ডলার। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে এই খাতের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে মৎস্য রপ্তানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২৫ কোটি ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে এ সময়ে আয় হয়েছে ২৯ কোটি ১৫ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৪ দশমিক ৮২ শতাংশ বেশি। একইসঙ্গে গত ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদের তুলনায় এবার এ খাতের বৈদেশিক মুদ্রার আয় ২ দশমিক ০৩ শতাংশ বেড়েছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে হিমায়িত ও জীবিত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২৮ কোটি ৫৭ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে জীবিত মাছ রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ১১ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার; যা এই সময়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৭৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ কম। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় ৭৫ দশমিক ৬৪ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে এ খাতের আয় হয়েছিল ৪৬ লাখ ৮০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে হিমায়িত মাছ রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২ কোটি ৫৫ লাখ ৪০ হাজার মার্কিন ডলার। চলতি অর্থবছরের একই সময়ে এ খাতের পণ্য রপ্তানিতে আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২ কোটি ২৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ২ কোটি ১৮ লাখ ১০ হাজার মার্কিন ডলার। অর্থাৎ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ দশমিক ২০ শতাংশ কম বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে এ খাতে। একইসঙ্গে আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায়ও এ খাতের আয় ১৪ দশমিক ৬০ শতাংশ কমেছে।
চলতি অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে চিংড়ি রপ্তানিতে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২১ কোটি ১২ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ২৫ কোটি ৬৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার; যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২১ দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের একই সময়ে চিংড়ি রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ২৩ কোটি ৯৫ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
২০১৬-১৭ অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে কাঁকড়া রপ্তানিতে আয় হয়েছে ৬৯ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার। যা এ সময়ের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৪০ দশমিক ৭৫ শতাংশ কম। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ খাতের আয় ৪০ দশমিক ৬০ শতাংশ কমেছে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে কাঁকড়া রপ্তানিতে আয় হয়েছিল ১ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার।

Comments