নতুন ওষুধ এর সাব লাইসেন্স পেল বেক্সিমকো ফার্মা

Beximco pharma
জাতিসংঘ সমর্থিত পাবলিক হেলথ অরগানাইজেশন, মেডিসিনস পেটেন্ট পুল (এমপিপি) হেপাটাইটিস সি রোগের নতুন ওষুধ ব্রিস্টল-মিয়ার্স স্কুইব এর ‘ডেক্লাটাসভির’ প্রস্তুতের জন্য বেক্সিমকো ফার্মাকে সাব লাইসেন্স প্রদান করেছে। বাংলাদেশের প্রথম কোম্পানি হিসেবে গত ১ ডিসেম্বর এমপিপি’র সাব লাইসেন্স অর্জন করেছে বেক্সিমকো ফার্মা। কোম্পানির পাঠানোর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এইচসিভি ভাইরাসের সকল জেনোটাইপসের বিরুদ্ধে প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে ‘ডেক্লাটাসভির’। ২০১৪ সালের আগস্টে ইউরোপে রেগুলেটরি অনুমোদন লাভ করে ওষুধটি এবং ২০১৫ সালের এপ্রিলে অ্যাসেনশিয়াল ড্রাগ হিসেবে ডব্লিউএইচও’র মডেল লিস্টে স্থান করে নেয় ওষুধটি। নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে এই ওষুধের সহজলভ্যতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০১৫ সালের নভেম্বরে এমপিপি, ব্রিস্টল-মিয়ার্স স্কুইব এর সাথে একটি টেকনোলজি ট্রান্সফার চুক্তি করে।
এমপিপি’র নেটওয়ার্কে বেক্সিমকো ফার্মার সংযুক্তি সম্পর্কে কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান এমপি বলেন, “বাংলাদেশের প্রথম কোম্পানি হিসেবে এমপিপি’র নেটওয়ার্কে জায়গা করে নেয়া আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের। আমরা বিশ্বাস করি আমাদের প্রতিযোগিতামূলক উৎপাদন খরচের সাহায্যে এই ওষুধের সহজলভ্যতা আমরা নিশ্চিত করতে পারব যার মাধ্যমে হেপাটাইটিস সি রোগের অত্যন্ত কার্যকরী এই ওষুধ নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে সহজলভ্য হবে।”
এইচআইভি, ভাইরাল হেপাটাইটিস সি এবং যক্ষা চিকিৎসা নিয়ে নিম্ন এবং মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে কাজ করছে এমপিপি। এমপিপি সরকার, শিল্প, সুশীল সমাজ, আন্তর্জাতিক সংস্থাসমূহ, রোগী এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারদের সাথে কাজ করে। এমপিপি সবসময় সত্ত্ব ঠিক রেখে উৎপাদন বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে। উন্নয়নশীল বিশ্বের ১৩১টি দেশে এইচআইভি ও হেপাটাইটিস সি’র চিকিৎসা নিশ্চিত করতে বর্তমানে ১৫ টি জেনেরিক কোম্পানির সাথে ১০০টিরও বেশি প্রকল্পে কাজ করছে এমপিপি।
এখন পর্যন্ত ‘ডেক্লাটাসভির’ এর সাব লাইসেন্স পেয়েছে স্যান্ডোজ, অরবিন্দো, সিপলা, এমকিউর, হেটেরো, লোরাস, ন্যাটকো ফার্মা লিমিটেড এবং জিডাস ক্যাডিলা।

Comments