৬ কোম্পানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়ছে

power-plant

পাঁচ বছর মেয়াদি ছয়টি ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের চুক্তির মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ছে। বেসরকারি খাতে নির্মিত এসব বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ বাড়া এবং বাড়তি মেয়াদের ট্যারিফ নির্ধারণসংক্রান্ত পৃথক প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য ৮ নভেম্বর সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠিয়েছে বিদ্যুৎ বিভাগ।
মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের সুপারিশ করা ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো হচ্ছে ১১৫ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মেসার্স খুলনা পাওয়ার কোম্পানি ইউনিট-২ লিমিটেড, ১০২ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সামিট নারায়ণগঞ্জ পাওয়ার লিমিটেড, ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মেসার্স ওরিয়ন পাওয়ার মেঘনা ঘাট লিমিটেড (সাবেক মেসার্স আইইএল কনসোর্টিয়াম অ্যান্ড লিমিটেড), ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন ডাচ্-বাংলা পাওয়ার অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েট লিমিটেড, ১০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মেসার্স এক্রোন ইনফ্রাস্ট্রাকচার সার্ভিস লিমিটেড ও ৪০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন মেসার্স খানজাহান আলী পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড। উল্লেখ্য, প্রতিটি বিদ্যুৎকেন্দ্রই ফার্নেস অয়েলভিত্তিক।
এ ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর পক্ষে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১০ অনুযায়ী, আগামী ২০২১ সাল নাগাদ দেশে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। কয়লাভিত্তিক বেজ লোড পাওয়ার প্ল্যান্ট বাস্তবায়ন করতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময় প্রয়োজন হবে। এ প্রেক্ষাপটে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের মেয়াদ বিদ্যুৎতের চাহিদা অনুযায়ী আরও তিন থেকে পাঁচ বছর বাড়ানোর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বাড়তি মেয়াদের জন্য প্রস্তাবিত ট্যারিফ অনুযায়ী পাঁচ বছরে এ খাতে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ৩০ হাজার ৪৩৯ কোটি টাকা। বর্তমান প্রস্তাবে আগের তুলনায় ট্যারিফের হার কম হওয়ায় বিদ্যুৎ বিভাগের হিসাবে সরকারের প্রায় ৮১৭ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে।
এসব বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর মধ্যে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রয়েছে খুলনা পাওয়ার এবং সামিট পাওয়ার। এ দুটি কোম্পানির বিদ্যুৎকেন্দ্রের মেয়াদ বাড়া এবং বাড়তি মেয়াদের ট্যারিফ নির্ধারণ হলে বাড়তি আয় পাবে বিনিয়োগকারীরা। এমনটাই আশা করছেন দেশের পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।
উল্লেখ্য, এ ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর পক্ষে বিদ্যুৎ বিভাগের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, পাওয়ার সিস্টেম মাস্টার প্ল্যান-২০১০ অনুযায়ী, আগামী ২০২১ সাল নাগাদ দেশে ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। কয়লাভিত্তিক বেজ লোড পাওয়ার প্ল্যান্ট বাস্তবায়ন করতে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সময় প্রয়োজন হবে। এ প্রেক্ষাপটে রেন্টাল, কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্ল্যান্টের মেয়াদ বিদ্যুতের চাহিদা অনুযায়ী আরও তিন থেকে পাঁচ বছর বাড়ানোর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

Comments