কুয়েত বা উপসাগরীয় অঞ্চলের (গালফ) দেশে
ওষুধ রপ্তানি শুরু করেছে বেক্সিমকো ফার্মা। গত জুন থেকে রপ্তানী শুরু করেছে
বেক্সিমকো। রপ্তানীতে পোশাক শিল্পের পরে অবস্থান নিয়েছে ওষুধ শিল্প খাত।
দেশটিতে আগামী ৫ বছরে প্রায় শতকোটি ডলারের
ওষুধ বিক্রির আশা করছে কোম্পানিটি। বাংলাদেশ থেকে প্রথম বেক্সিমকো ফার্মা
কুয়েতে ওষুধ রপ্তানী শুরু করেছে। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) এমন তথ্য
নিশ্চিত করেছে।
কুয়েতের বাজারে প্রবেশের মাধ্যমেই
যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, গালফ, অস্ট্রেলিয়ার মতো উন্নত দেশের বাজারে
ওষুধ রপ্তানির সূচনা হয়েছে বলেই মনে করছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় আড়াইশ প্রতিষ্ঠান
অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ প্রস্তুত করছে। এসব কারখানায় বছরে ২৪ হাজার
ব্র্যান্ডের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ উৎপাদিত হয়। কারখানাগুলোর মধ্যে বেশ কিছু
কারখানা আন্তর্জাতিক মানের।
বিশেষ করে- স্কয়ার, বেক্সিমকো, রেনেটা,
ইনসেপটা, হেলথ কেয়ার, এসকেএফ, সেনডোজসহ বিভিন্ন কারখানা। এসব কারখানায়
আন্তর্জাতিক মানের ওষুধ উৎপাদন করা হয়। বিশ্বমানের ৪২টি এমন ওষুধ কারখানায়
রয়েছে।
উৎপাদিত ওষুধ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ছাড়াও
জাপান, কোরিয়া, আফ্রিকা, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব এবং মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন
দেশে রপ্তানি হচ্ছে। সব মিলিয়ে দেশে বছরে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার ওষুধ ও
ওষুধ তৈরির কাঁচামাল উৎপাদিত হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ছে বাংলাদেশে উৎপাদিত
ওষুধ। এই ওষুধ এখন এশিয়া, আফ্রিকার বাজার ছাড়িয়ে ইউরোপের বাজারে প্রবেশ
করেছে। তৈরি পোশাকের পর এখন ওষুধ শিল্পকে রফতানি আয়ের একটি অন্যতম খাত
হিসেবে ধরা হচ্ছে। রফতানি আয়েও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে। গত অর্থবছরে
প্রায় সাড়ে ৬শ কোটি টাকা আয় হয়েছে এ শিল্প থেকে।
রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে জানা গেছে, সদ্যসমাপ্ত ২০১৫-১৬
অর্থবছরে ওষুধ রফতানির পরিমাণ বেড়েছে আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৩ দশমিক
শূন্য ৪ শতাংশ। গত অর্থবছরে ওষুধ রফতানির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ কোটি মার্কিন
ডলার। এর বিপরীতে আয় হয়েছে ৮ কোটি ২১ লাখ ডলার; যা দেশি মুদ্রায় প্রায় ৬৫০
কোটি টাকা।
আগের বছর আয় ছিল ৭ কোটি ২৬ লাখ ডলার বা ৫৬৬ কোটি টাকা। ২০১২-১৩ অর্থবছরে এ খাতে আয় ছিল ৪ কোটি ৮২ লাখ ডলার বা ৩৭৫ কোটি টাকা।
Source : dailystockbangladesh
Comments
Post a Comment