খুলনার মংলা বন্দরে শেড নির্মাণ করতে 
বাংলাদেশ বিল্ডিং সিস্টেমস লিমিটেডের (বিবিএস) চুক্তি করেছে বন্দর 
কর্তৃপক্ষ। শেড নির্মাণ বাবদ ১৮ কোটি টাকা পরিশোধ করবে বাংলাদেশের দ্বিতীয়
 সামুদ্রিক বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন 
কোম্পানির ব্যস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার আবু নোমান হাওলাদার ও বন্দর 
কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, মংলা বন্দর বাংলাদেশের দ্বিতীয় 
সামুদ্রিক বন্দর। মংলার স্থায়ী বন্দর, পুরাতন মংলা, হিরণ পয়েন্ট, খুলনার 
রুজভেল্ট জেটি পর্যন্ত বন্দরের কার্য পরিধি। রাজধানী ঢাকাসহ বাংলাদেশের 
দক্ষিণ ও পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নে এ বন্দর অনেক ভূমিকা রাখছে।
১৯৫০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর পিডি-৪(৪৮)/৫০/১ 
গেজেট নোটিফিকেশন বলে ১ ডিসেম্বর চালনা পোর্ট নামে এ বন্দর প্রতিষ্ঠা লাভ 
করে। একই বৎসরে ১১ ডিসেম্বর পশুর নদীর জয়মনিরগোল নামক স্থানে ‘দি সিটি অন 
লিয়নস্’ জাহাজ নোঙ্গরের মাধ্যমে বন্দরের শুরু হয়। এরআগে ১৯৫১ সালের ১৭ই 
মার্চ জয়মনিরগোল থেকে ২২ কিলোমিটার উত্তরে চালনা নামক স্থানে এ্যাংকোরেজ 
হিসেবে কাজ শুরু করে।
পরবর্তীতে ১৯৫৪ সালে দেশী বিদেশী বিশেষজ্ঞ 
দ্বারা জরীপ কার্য সম্পাদনের পর খুলনা মেট্রোপলিটন শহর থেকে ৪২ কিলোমিটার 
দক্ষিণে পশুর নদীর পূর্ব তীরে মংলা নালা ও পশুর নদীর সঙ্গম স্থলে বন্দরটি 
স্থানান্তরিত হয়।
১৯৭৭ সালের মে মাস পর্যন্ত পোর্ট এ্যাক্ট 
১৯০৮ অনুযায়ী এটা ডাইরেক্টরেট হিসেবে প্রতিষ্ঠিত ও পরিচালিত হয়। পরে 
চালনা পোর্ট অর্ডিন্যান্স নং-৫৩, ১৯৭৬ বলে এ ডাইরেকটরেট কে স্বায়ত্ব শাসিত
 প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করে এ বন্দরকে চালনা বন্দর কর্তৃপক্ষ হিসেবে নামকরণ 
করা হয়।
১৯৮৭ সালের পোর্ট অব চালনা অথরিটি এ্যাক্ট 
অনুসারে প্রথমে চালনা বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং পরবর্তীতে মংলা পোর্ট অথরিটি 
নামে প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
Source: dailystockbangladesh 
Comments
Post a Comment