বাংলাদেশ থেকে ভারতের উত্তর-পূর্ব অঙ্গরাজ্যগুলোয় এমএস রড-সামগ্রী শুল্কমুক্তভাবে ও সহজে রপ্তানি করতে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার আশ্বাস দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী ফারুক খান।
গতকাল রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস্ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএআরএসএমএ) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে বাণিজ্যমন্ত্রী এ আশ্বাস দেন।
বৈঠকে সমিতির পক্ষ থেকে ভারতের উত্তর-পূর্ব সাতটি রাজ্যে শুল্কমুক্তভাবে রড রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন বিএআরএসএমএর চেয়ারম্যান শেখ মাসাদুল আলম। সমিতির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
বৈঠকে বিএআরএসএমএর মহাসচিব আবুল কাসেম মজুমদার বলেন, ভারতের সাতটি রাজ্যে বাংলাদেশের এমএস রড পৌঁছাতে টনপ্রতি অতিরিক্ত ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি লাগবে। কিন্তু ভারতের অন্য স্থান থেকে এই রাজ্যগুলোতেই রড আনতে অতিরিক্ত খরচ পড়বে ভারতীয় মুদ্রায় এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা। তিনি বলেন, দসেই হিসেবে ভারতের সাতটি অঙ্গরাজ্যে আমাদের এই শিল্পটির বিরাট সম্ভাবনা আছে। ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসায় শিল্পটি বাঁচতে সরকারের জন্য সুবর্ণ সুযোগ এসেছে।’
সংগঠনের নেতারা বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের স্থবিরতা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সমস্যার কারণে গৃহায়ণ খাতে দেশের উৎপাদিত রড ব্যবহার হ্রাস পেয়েছে।
তারা আরও বলেন, দেশে রড উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা ৮০ লাখ টন থাকলেও উৎপাদন করা হচ্ছে ৪০ লাখ টন। কিন্তু বর্তমানে মাত্র ২০ লাখ টনের চাহিদা আছে। বিপুল পরিমাণ এই উদ্বৃত্তের কারণে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানকে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
নেতারা আরও বলেন, রি-রোলিং ও স্টিল শিল্পে ব্যবহূত কাঁচামাল মেল্টিং স্ক্র্যাপ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৫০০ ডলার থেকে ৫৩০ ডলার এবং বিলেট ৬৮০ ডলার থেকে ৭০০ ডলারে কিনতে হয়। এই হিসাবে এমএস রড-সামগ্রী তৈরি করতে ৪০ গ্রেডের মূল্য পড়ে ৫৭ হাজার টাকা ও ৬০ গ্রেডের মূল্য পড়ে ৬৩ হাজার টাকা।
কিন্তু মন্দা বাজারে রি-রোলিং ও স্টিল উৎপানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তা লোকসান দিয়ে বিক্রি করছে যথাক্রমে ৫৪ হাজার ও ৬০ হাজার টাকায়।
বিএআরএসএমএর নেতারা মনে করেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে উভয় দেশের সুযোগ-সুবিধা বোঝাতে সক্ষম হলে এবং শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুবিধা পেলে শিল্পটি টিকে থাকবে।
বৈঠকে বিএআরএসএমএর পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. মনোয়ার হোসেন, মো. সিরাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ শহীদউল্লাহ, মো, সিরাজুল ইসলাম, কাজী আনোয়ার আহমেদ প্রমুখ।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-09-05/news/182969
গতকাল রোববার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশ অটো রি-রোলিং অ্যান্ড স্টিল মিলস্ অ্যাসোসিয়েশনের (বিএআরএসএমএ) একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে বাণিজ্যমন্ত্রী এ আশ্বাস দেন।
বৈঠকে সমিতির পক্ষ থেকে ভারতের উত্তর-পূর্ব সাতটি রাজ্যে শুল্কমুক্তভাবে রড রপ্তানির সুযোগ সৃষ্টির জন্য বাণিজ্যমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দেন বিএআরএসএমএর চেয়ারম্যান শেখ মাসাদুল আলম। সমিতির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
বৈঠকে বিএআরএসএমএর মহাসচিব আবুল কাসেম মজুমদার বলেন, ভারতের সাতটি রাজ্যে বাংলাদেশের এমএস রড পৌঁছাতে টনপ্রতি অতিরিক্ত ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা বেশি লাগবে। কিন্তু ভারতের অন্য স্থান থেকে এই রাজ্যগুলোতেই রড আনতে অতিরিক্ত খরচ পড়বে ভারতীয় মুদ্রায় এক হাজার ৫০০ থেকে দুই হাজার টাকা। তিনি বলেন, দসেই হিসেবে ভারতের সাতটি অঙ্গরাজ্যে আমাদের এই শিল্পটির বিরাট সম্ভাবনা আছে। ৬ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ সফরে আসায় শিল্পটি বাঁচতে সরকারের জন্য সুবর্ণ সুযোগ এসেছে।’
সংগঠনের নেতারা বলেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের স্থবিরতা, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সমস্যার কারণে গৃহায়ণ খাতে দেশের উৎপাদিত রড ব্যবহার হ্রাস পেয়েছে।
তারা আরও বলেন, দেশে রড উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর বার্ষিক উৎপাদনক্ষমতা ৮০ লাখ টন থাকলেও উৎপাদন করা হচ্ছে ৪০ লাখ টন। কিন্তু বর্তমানে মাত্র ২০ লাখ টনের চাহিদা আছে। বিপুল পরিমাণ এই উদ্বৃত্তের কারণে অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানকে লোকসান গুনতে হচ্ছে।
নেতারা আরও বলেন, রি-রোলিং ও স্টিল শিল্পে ব্যবহূত কাঁচামাল মেল্টিং স্ক্র্যাপ আন্তর্জাতিক বাজার থেকে ৫০০ ডলার থেকে ৫৩০ ডলার এবং বিলেট ৬৮০ ডলার থেকে ৭০০ ডলারে কিনতে হয়। এই হিসাবে এমএস রড-সামগ্রী তৈরি করতে ৪০ গ্রেডের মূল্য পড়ে ৫৭ হাজার টাকা ও ৬০ গ্রেডের মূল্য পড়ে ৬৩ হাজার টাকা।
কিন্তু মন্দা বাজারে রি-রোলিং ও স্টিল উৎপানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো তা লোকসান দিয়ে বিক্রি করছে যথাক্রমে ৫৪ হাজার ও ৬০ হাজার টাকায়।
বিএআরএসএমএর নেতারা মনে করেন, ভারতীয় কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে উভয় দেশের সুযোগ-সুবিধা বোঝাতে সক্ষম হলে এবং শুল্কমুক্ত রপ্তানির সুবিধা পেলে শিল্পটি টিকে থাকবে।
বৈঠকে বিএআরএসএমএর পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন মো. মনোয়ার হোসেন, মো. সিরাজুল ইসলাম, মুহাম্মদ শহীদউল্লাহ, মো, সিরাজুল ইসলাম, কাজী আনোয়ার আহমেদ প্রমুখ।
http://www.prothom-alo.com/detail/date/2011-09-05/news/182969
Comments
Post a Comment