বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক মুদ্রানীতি ঘোষণাঋণের খরচ আরো বাড়বেএবারের মুদ্রানীতির ভঙ্গি বাস্তবানুগ, সংযত ও সংহত ড. আতিউর রহমান
ব্যাংকের ঋণ আরো ব্যয়বহুল করার ইঙ্গিত নিয়ে ঘোষিত হলো চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি! তবে বরাবরের মতো এবারও বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, প্রবৃদ্ধিকে সহায়তা করার জন্য সংকুলানমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ করা হবে। অনুৎপাদনশীল খাতে ঋণের প্রবাহ কমানোর কথা বলা হলেও সেটি নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর তদারকির বিষয়ে কিছু উল্লেখ নেই গতকাল ঘোষিত মুদ্রানীতিতে।
এতে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম কমার কিছুটা প্রভাব ভবিষ্যতে দেশের খাদ্যের বাজারে পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি বাজেটে প্রাক্কলিত সাড়ে ৭ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখা দুরূহ হবে। তবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন ৭ শতাংশ অর্জন সম্ভব হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে গভর্নর ড. আতিউর রহমান ২০১১-১২ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের জন্য এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বলেন, 'এবারের মুদ্রানীতির ভঙ্গি বাস্তবানুগ, সংযত ও সংহত'।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নজরুল হুদা ও জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী এবং প্রধান অর্থনৈতিক পরামর্শক আল্লাহ মালিক কাজেমি। ডেপুটি গভর্নর মুরশিদ কুলী খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মুদ্রানীতিতে অভ্যন্তরীণ ও বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ যথাক্রমে ২০ ও ১৮ শতাংশে নামিয়ে আনার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
মুদ্রানীতিতে বলা হয়েছে, বাজেটে প্রক্ষেপণ অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৭ শতাংশের মধ্যে রাখতে হলে চাহিদা সীমিত রেখে জোগান বাড়াতে হবে। এ জন্য অতিরিক্ত তারল্য সম্প্রসারণ সীমিত করা ও অভ্যন্তরীণ পরিবেশ স্থিতিশীল রাখার কথা বলা হয়েছে।
অনুৎপাদনশীল ও অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসায়ে ঋণের ব্যবহার কমিয়ে উৎপাদনশীল খাত যেমন_শিল্প, কৃষি, ব্যবসা ও অন্যান্য সেবা খাতে ঋণের পর্যাপ্ত প্রবাহকে নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে মুদ্রানীতিতে। ঋণের সুদ হারের ঊর্ধ্বসীমা উঠিয়ে দেওয়াকে যৌক্তিক ইঙ্গিত করে মুদ্রানীতিতে বলা হয়েছে, 'তা মুদ্রাবাজারে সুদের হারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য সহায়ক হবে এবং ঋণের চাহিদা চাপের পরিবর্তনের সঙ্গে বাজার জোগানের দ্রুত ও মসৃণভাবে সমন্বয় প্রক্রিয়াকে নিশ্চিত করবে। এই প্রক্রিয়াকে সহনীয় করার জন্য ব্যাংকের সুদের হার, চার্জ ও কমিশনকে প্রতিযোগিতামূলক করা এবং গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক তার নজরদারি ব্যবস্থা আরো জোরদার করবে।
মুদ্রানীতি অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ ঋণের ওপর চাহিদার চাপ অবশ্যই কমে যাবে, যদি টাকার অতিরিক্ত অবমূল্যায়ন, লেনদেন ভারসাম্যের প্রতিকূলতা এবং সম্পদ-দায় মেয়াদের সামঞ্জস্যহীনতার কারণে সৃষ্ট তারল্য চাপ দূর করা যায়। তাই সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পগুলোয় দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ও ইক্যুইটি আকারে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মূলধনের প্রবাহ নিশ্চিত ও আকর্ষণীয় করার জন্য অন্যান্য নীতির সঙ্গে অর্থবছর '১২-এ মুদ্রানীতির পদক্ষেপগুলোকে সংযুক্ত করতে হবে।
টাকা ও ডলারের চাপ অব্যাহত থাকবে
বিদ্যমান টাকা ও ডলারের চাহিদার চাপ চলতি অর্থবছরেও অব্যাহত থাকবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়ে দিয়েছে। মুদ্রানীতিতে বলা হয়, '৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সরকারি এবং বেসরকারি বিনিয়োগ কর্মকাণ্ডের জন্য ক্রমবর্ধমান আর্থিক প্রয়োজনীয়তা গত অর্থবছরের মতো এ অর্থবছরেও স্থানীয় টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের ওপর চাহিদার চাপ অব্যাহত রাখবে।'
গত অর্থবছরে টাকা ও ডলারের চাহিদা বাড়ার কারণ সম্পর্কে মুদ্রানীতিতে বলা হয়েছে, উৎপাদন এবং বিনিয়োগ কার্যক্রম বৃদ্ধির ফলে সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকে অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে চাহিদার চাপ তারচেয়ে তীব্রতর ছিল। অন্যদিকে প্রবাসী শ্রমিকদের রেমিটেন্সের নিম্নমুখী অন্তপ্রবাহ, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির ফলে বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি এবং মূলধন হিসেবে হ্রাসমান অন্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে তারল্যের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কিছু হাতিয়ার ব্যবহার করেছে জানিয়ে মুদ্রানীতে বলা হয়েছে, মুদ্রা সম্প্রসারণের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি কার্যক্রমের কাঙ্ক্ষিত প্রভাব অর্থবছরের শেষ-ত্রৈমাসিকে সুস্পষ্ট হয়। অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহ এপ্রিলে সর্বোচ্চ ২৯.১৮ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে মে '১১-এ ২৮.২৯ শতাংশে দাঁড়ায় এবং জুন '১১-এ ২৭.৬ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হয়। http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Natok&pub_no=595&cat_id=1&menu_id=24&news_type_id=1&news_id=175128
এতে বলা হয়েছে, বিশ্ববাজারে খাদ্যপণ্যের দাম কমার কিছুটা প্রভাব ভবিষ্যতে দেশের খাদ্যের বাজারে পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও সার্বিক মূল্যস্ফীতি বাজেটে প্রাক্কলিত সাড়ে ৭ শতাংশের মধ্যে ধরে রাখা দুরূহ হবে। তবে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির প্রাক্কলন ৭ শতাংশ অর্জন সম্ভব হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক মনে করে।
গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে গভর্নর ড. আতিউর রহমান ২০১১-১২ অর্থবছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসের জন্য এ মুদ্রানীতি ঘোষণা করে বলেন, 'এবারের মুদ্রানীতির ভঙ্গি বাস্তবানুগ, সংযত ও সংহত'।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নজরুল হুদা ও জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী এবং প্রধান অর্থনৈতিক পরামর্শক আল্লাহ মালিক কাজেমি। ডেপুটি গভর্নর মুরশিদ কুলী খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন। মুদ্রানীতিতে অভ্যন্তরীণ ও বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ যথাক্রমে ২০ ও ১৮ শতাংশে নামিয়ে আনার আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
মুদ্রানীতিতে বলা হয়েছে, বাজেটে প্রক্ষেপণ অনুযায়ী মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৭ শতাংশের মধ্যে রাখতে হলে চাহিদা সীমিত রেখে জোগান বাড়াতে হবে। এ জন্য অতিরিক্ত তারল্য সম্প্রসারণ সীমিত করা ও অভ্যন্তরীণ পরিবেশ স্থিতিশীল রাখার কথা বলা হয়েছে।
অনুৎপাদনশীল ও অত্যধিক ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবসায়ে ঋণের ব্যবহার কমিয়ে উৎপাদনশীল খাত যেমন_শিল্প, কৃষি, ব্যবসা ও অন্যান্য সেবা খাতে ঋণের পর্যাপ্ত প্রবাহকে নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে মুদ্রানীতিতে। ঋণের সুদ হারের ঊর্ধ্বসীমা উঠিয়ে দেওয়াকে যৌক্তিক ইঙ্গিত করে মুদ্রানীতিতে বলা হয়েছে, 'তা মুদ্রাবাজারে সুদের হারের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য সহায়ক হবে এবং ঋণের চাহিদা চাপের পরিবর্তনের সঙ্গে বাজার জোগানের দ্রুত ও মসৃণভাবে সমন্বয় প্রক্রিয়াকে নিশ্চিত করবে। এই প্রক্রিয়াকে সহনীয় করার জন্য ব্যাংকের সুদের হার, চার্জ ও কমিশনকে প্রতিযোগিতামূলক করা এবং গ্রাহক স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক তার নজরদারি ব্যবস্থা আরো জোরদার করবে।
মুদ্রানীতি অনুযায়ী, অভ্যন্তরীণ ঋণের ওপর চাহিদার চাপ অবশ্যই কমে যাবে, যদি টাকার অতিরিক্ত অবমূল্যায়ন, লেনদেন ভারসাম্যের প্রতিকূলতা এবং সম্পদ-দায় মেয়াদের সামঞ্জস্যহীনতার কারণে সৃষ্ট তারল্য চাপ দূর করা যায়। তাই সরকারি-বেসরকারি প্রকল্পগুলোয় দীর্ঘমেয়াদি ঋণ ও ইক্যুইটি আকারে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মূলধনের প্রবাহ নিশ্চিত ও আকর্ষণীয় করার জন্য অন্যান্য নীতির সঙ্গে অর্থবছর '১২-এ মুদ্রানীতির পদক্ষেপগুলোকে সংযুক্ত করতে হবে।
টাকা ও ডলারের চাপ অব্যাহত থাকবে
বিদ্যমান টাকা ও ডলারের চাহিদার চাপ চলতি অর্থবছরেও অব্যাহত থাকবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়ে দিয়েছে। মুদ্রানীতিতে বলা হয়, '৭ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সরকারি এবং বেসরকারি বিনিয়োগ কর্মকাণ্ডের জন্য ক্রমবর্ধমান আর্থিক প্রয়োজনীয়তা গত অর্থবছরের মতো এ অর্থবছরেও স্থানীয় টাকা এবং বৈদেশিক মুদ্রাবাজারের ওপর চাহিদার চাপ অব্যাহত রাখবে।'
গত অর্থবছরে টাকা ও ডলারের চাহিদা বাড়ার কারণ সম্পর্কে মুদ্রানীতিতে বলা হয়েছে, উৎপাদন এবং বিনিয়োগ কার্যক্রম বৃদ্ধির ফলে সরকারি ও বেসরকারি খাত থেকে অভ্যন্তরীণ এবং বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে চাহিদার চাপ তারচেয়ে তীব্রতর ছিল। অন্যদিকে প্রবাসী শ্রমিকদের রেমিটেন্সের নিম্নমুখী অন্তপ্রবাহ, আমদানি ব্যয় বৃদ্ধির ফলে বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধি এবং মূলধন হিসেবে হ্রাসমান অন্তপ্রবাহ কমে যাওয়ার কারণে টাকা ও বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে তারল্যের ওপর ব্যাপক চাপ সৃষ্টি হয়। এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বেশ কিছু হাতিয়ার ব্যবহার করেছে জানিয়ে মুদ্রানীতে বলা হয়েছে, মুদ্রা সম্প্রসারণের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি কার্যক্রমের কাঙ্ক্ষিত প্রভাব অর্থবছরের শেষ-ত্রৈমাসিকে সুস্পষ্ট হয়। অভ্যন্তরীণ ঋণপ্রবাহ এপ্রিলে সর্বোচ্চ ২৯.১৮ শতাংশ থেকে হ্রাস পেয়ে মে '১১-এ ২৮.২৯ শতাংশে দাঁড়ায় এবং জুন '১১-এ ২৭.৬ শতাংশ হবে বলে ধারণা করা হয়। http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Natok&pub_no=595&cat_id=1&menu_id=24&news_type_id=1&news_id=175128
Comments
Post a Comment