বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি স্থিতিশীল : এসঅ্যান্ডপি

  আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড পুওরস গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশের ওপর তাদের বার্ষিক রেটিং পর্যালোচনা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে গত বছরের মতো এবারও বাংলাদেশের সার্বিক অর্থনীতি স্থিতিশীল মন্তব্য করে 'বিবি-' রেটিং দিয়েছে। গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে এ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নির্বাহী পরিচালক মো. আহসান উল্ল্যাহ এ তথ্য জানান।
এর আগে গত ১৪ এপ্রিল বাংলাদেশকে আগের বছরের মতোই 'বিএ৩' রেটিং দিয়েছে রেটিং এজেন্সি মুডিস। বাংলাদেশের অর্থনীতি উচ্চ প্রবৃদ্ধির অর্জনের পথে রয়েছে। কর কাঠামোর সংস্কার এবং অবকাঠামোর উন্নয়নের উদ্যোগের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল থাকায় এ রেটিং দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সংস্থাটি। আহসান উল্ল্যাহ জানান, এসঅ্যান্ডপির পর্যালোচনাপত্রে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির জোরালো সম্ভাবনাময় ধারা এবং এই প্রবৃদ্ধির জন্য অর্থায়ন সহায়তায় অন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জোরালো অঙ্গীকারের ভিত্তিতে এই মূল্যায়ন করা হয়েছে। এ ছাড়া রাজস্ব আয় ভিত্তির প্রসারসহ সরকারের বিবিধ সংস্কার উদ্যোগ চলমান থাকলে এবং ক্রমবর্ধমান বিনিয়োগ থেকে জিডিপির প্রবৃদ্ধি তরান্বিত হতে থাকলে সভরেন ক্রেডিট রেটিং আরো উন্নততর হবে বলে এসঅ্যান্ডপি জানিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের রেটিং 'বিবি-' বজায় থাকার অর্থ বাংলাদেশে দৃঢ় ও স্থিতিশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এসঅ্যান্ডপির পর্যালোচনায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের উন্নয়ন সহযোগীদের সক্রিয় অংশ নেওয়ার ফলে ঋণ পরিশোধ সক্ষমতার চলমান উন্নতি লক্ষণীয়। কেন্দ্রয় ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা রিজার্ভের উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি বৈদেশিক বাণিজ্যে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। বৈদেশিক মুদ্রার উল্লেখযোগ্য রিজার্ভ উন্নয়ন সহযোগীদের মধ্যে আস্থা সৃষ্টি করছে। সুসংহত রাজস্ব ও মুদ্রানীতি প্রণয়নের ফলে বিগত পাঁচ বছর যাবৎ বাংলাদেশের প্রকৃত মাথাপিছু আয়ের প্রবৃদ্ধি গড়ে ৪.৭ শতাংশ রয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক ও সংগ্রহে দক্ষতা বৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিভিন্ন পদক্ষেপ, ক্রমবর্ধমান আমদানি, রপ্তানি ও বিনিয়োগ (বিশেষ করে জাহাজ নির্মাণশিল্প ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে) বাংলাদেশের মধ্যমেয়াদি প্রবৃদ্ধিকে আরো গতিশীল করবে। স্বল্পখরচে ও দীর্ঘমেয়াদে বহিঋণ অর্থনীতিতে পুনরায় অর্থায়ন ঝুঁকি হ্রাস করেছে । সহনীয় মাত্রার বৈদেশিক ঋণ, সাশ্রয়ী শর্তে বৈদেশিক ঋণ গ্রহণের সুযোগ, বৈদেশিক মুদ্রার উল্লেখযোগ্য রিজার্ভের উপস্থিতি ইত্যাদি কারণে লেনদেনের ভারসাম্য বা ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রার তারল্য প্রবাহ ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে মন্তব্য করেছে আন্তর্জাতিক ঋণমান যাচাইকারী প্রতিষ্ঠানটি।
  http://www.dailykalerkantho.com/?view=details&type=gold&data=Recipe&pub_no=505&cat_id=1&menu_id=24&news_type_id=1&index=0

Comments