ব্যাংকিং ব্যবসায় লাগাম টানছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই অংশ হিসেবে ব্যাংকগুলোর শাখা খোলার ওপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। ফলে এ বছর ৪৭টি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে প্রায় ৩০টি ব্যাংকই নতুন শাখা খোলার লাইসেন্স বা অনুমতি পাবে না। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারক মহল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ব্যাংকিং খাতে আরও শৃঙ্খলা বাজার রাখার জন্য শাসত্মিস্বরূপ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
যেসব ব্যাংক কলমানির ওপর নির্ভর করে পরিচালিত হচ্ছে, ঋণ-আমানতের অনুপাতের (সিডিআর) চেয়ে অতিরিক্ত ঋণ বিতরণ করেছে, যেসব ব্যাংক আগ্রাসী অর্থায়ন করে শেয়ার মার্কেটে অতিরিক্ত বিনিয়োগ করেছিল এবং যেসব ব্যাংক তাদের মোট টার্গেটের মধ্যে ৫০ শতাংশ পর্যনত্ম কৃষিঋণ বিতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের এ বছর শাখা খোলার লাইসেন্স দেয়া হবে না। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থাকলেও সংশিস্নষ্ট ব্যাংকগুলো লাইসেন্স নেয়ার সময় এসব বিষয় কঠোরভাবে পর্যবেৰণ করেই শাখা খোলার অনুমতি দেবে বলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক উর্ধতন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, এ বছর ব্যাংকগুলোর নতুন শাখা খোলার বিষয়ে অনেক কঠোরতা অবলম্বন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লৰ্যে ইতোমধ্যেই নীতিনির্ধারণী মহলে সিদ্ধানত্ম নিয়েছে। যদিও এটি প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে কোন ব্যাংক নতুন শাখা খোলার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করলেই নির্দিষ্ট সময়ে ওই ব্যাংকের কার্যক্রমসহ একাধিক বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবেচনা করা হবে। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলো- ব্যাংকটি তার টার্গেটের মধ্যে ৫০ শতাংশ পর্যনত্ম কৃষিঋণ বিতরণ করছে কিনা। ব্যাংকটি অতিলোভে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করেছিল কিনা, কলমানির ওপর নির্ভর করে লেনদেন করছে কিনা এবং সর্বশেষ ব্যাংকের মোট ডিপোজিট রেসিওর তুলনায় অতিরিক্ত ঋণ বিতরণ করেছে কিনা এসব বিষয় ভালভাবেই তদনত্মস্বরূপ যাচাই-বাছাই শেষেই নতুন ব্রাঞ্চ খোলার অনুমতি প্রদান করা হবে। সে ৰেত্রে প্রায় ৩০টি ব্যাংক এ বছর শাখা খোলার লাইসেন্স পাবে না। এর মধ্যে ১২টি ব্যাংক পাবে না কৃষিঋণ বিতরণে ব্যর্থ হওয়ার কারণে। আর অন্য ১৮টি ব্যাংক পাবে না অন্যান্য কারণে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, একাধিক ব্যাংক রয়েছে যারা নতুন শাখা খোলার সময় প্রত্যনত্ম অঞ্চলে গিয়ে মানুষের সেবা প্রদান করবে। পাশাপাশি কৃষি ও ৰুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতে ঋণ বিতরণ করবে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্বিক নিয়ম-কানুন অনুযায়ী ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কোনভাবেই ব্যাংক কোম্পানি আইন বা বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন অমান্য করবে না। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক পরিদর্শনে দেখা গেছে, একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে যেগুলো প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে শাখা খোলার অনুমতি নিলেও বাসত্মবে তা করছে না। এতে ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতার সৃষ্টি হচ্ছে। যার দায়ভার বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপরই পড়ছে। ফলে এ বছর ব্যাংকের নতুন শাখা খোলার ৰেত্রে ব্যাংকগুলোর সার্বিক কর্মকা- বিবেচনা করেই দেয়া হবে। ব্যাংকগুলোর শাসত্মিস্বরূপ এ সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবায় (ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন) অনত্মভর্ুক্ত করার লৰ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো শহরের পাশাপাশি গ্রামেও আনুপাতিকের চেয়ে বেশি করে শাখা খুলছে। সেবার মান উন্নত করারও চেষ্টা চলছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারী ব্যাংকগুলো গ্রামাঞ্চলে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে তথ্য রয়েছে। কিন্তু বাসত্মবে দেখা গেছে, কৃষিঋণ বিতরণে ১২টি ব্যাংক পিছিয়ে পড়ছে। এর মধ্যে তিনটি ব্যাংক কোন কৃষিঋণ বিতরণ করেনি। বরং শিল্প খাতে বিতরণকৃত ঋণ কৃষি খাতে বিতরণ দেখানোর জন্য কৌশল অবলম্বন করছে। কিন্তু এসব ব্যাংকের চাতুরতা বাংলাদেশ ব্যাংক চিহ্নিত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১২টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর মুরশিদ কুলী খান সভাপতিত্ব করেন। এতে ব্যাংকগুলোতে আগামী তিন মাসের মধ্যে টার্গেটের ৫০ শতাংশ পর্যনত্ম ঋণ বিতরণের নির্দেশ দিয়েছে। কোন ব্যাংক এ নির্দেশ অনাম্য করলে সংশিস্নষ্ট ব্যাংকের বিরম্নদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ৭ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ১২টি ব্যাংক সামগ্রিকভাবে ২৫ শতাংশ পর্যনত্ম কৃষিঋণ বিতরণ করতে পারেনি। এছাড়া কিছু ব্যাংক রয়েছে যা জানুয়ারি পর্যনত্ম একটি টাকাও কৃষিখাতে বিতরণ করেনি। এ কারণে ১২টি ব্যাংককে এ বছর নতুন করে শাখা খোলার অনুমতি দেয়া হবে না। এ ১২টির সঙ্গে রয়েছে আরও বাকি ১৮টি ব্যাংক যেগুলো শাখা খুলতে পারবে না। কারণ এসব ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ অমান্য করে আগ্রাসী ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শাসত্মিস্বরূপ ব্যাংকগুলোর প্রতি এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে সারাদেশে ব্যাংকগুলোর মোট ৭ হাজার ২৪৬টি শাখা রয়েছে। এর মধ্যে শহর এলাকায় রয়েছে ৩ হাজার ৭৭টি এবং গ্রামাঞ্চলে রয়েছে ৪ হাজার ১৬৯ টি। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ব্রাঞ্চের সংখ্যা রয়েছে মোট ৩ হাজার ৩৯৪টি। এর মধ্যে শহরে রয়েছে ১ হাজার ২৪২টি এবং গ্রামাঞ্চলে রয়েছে ২ হাজার ১৫২টি। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ব্রাঞ্চ রয়েছে মোট ১ হাজার ৩৬৬টি। এর মধ্যে শহরে রয়েছে ১৫৭টি এবং গ্রামে রয়েছে ১ হাজার ২০৯টি। এছাড়া বেসরকারী ব্যাংকগুলোর মোট ব্রাঞ্চ রয়েছে ২ হাজার ৪২৭টি। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে রয়েছে ১ হাজার ৬১৯টি এবং গ্রামাঞ্চলে রয়েছে ৮০৪।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান থেকে শুরম্ন করে সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তারা ব্যাংকিং সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পেঁৗছে দিতে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরম্ন করেছেন। এরই অংশ হিসেবে শহরের সঙ্গে পালস্না দিয়ে গ্রামাঞ্চলে শাখা খোলা হচ্ছে। ৪:১ (অর্থাৎ শহরে ৪টি খুললে গ্রামে ১টি খুলতে হবে) অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর শাখা খোলার কথা থাকলেও অনেকাংশে বেশি খোলা হচ্ছে।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=34&dd=2011-03-31&ni=54261
যেসব ব্যাংক কলমানির ওপর নির্ভর করে পরিচালিত হচ্ছে, ঋণ-আমানতের অনুপাতের (সিডিআর) চেয়ে অতিরিক্ত ঋণ বিতরণ করেছে, যেসব ব্যাংক আগ্রাসী অর্থায়ন করে শেয়ার মার্কেটে অতিরিক্ত বিনিয়োগ করেছিল এবং যেসব ব্যাংক তাদের মোট টার্গেটের মধ্যে ৫০ শতাংশ পর্যনত্ম কৃষিঋণ বিতরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে তাদের এ বছর শাখা খোলার লাইসেন্স দেয়া হবে না। বিষয়টি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিনির্ধারণী পর্যায় থাকলেও সংশিস্নষ্ট ব্যাংকগুলো লাইসেন্স নেয়ার সময় এসব বিষয় কঠোরভাবে পর্যবেৰণ করেই শাখা খোলার অনুমতি দেবে বলেও কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের এক উর্ধতন কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে বলেন, এ বছর ব্যাংকগুলোর নতুন শাখা খোলার বিষয়ে অনেক কঠোরতা অবলম্বন করবে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ লৰ্যে ইতোমধ্যেই নীতিনির্ধারণী মহলে সিদ্ধানত্ম নিয়েছে। যদিও এটি প্রকাশ করা হচ্ছে না। তবে কোন ব্যাংক নতুন শাখা খোলার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আবেদন করলেই নির্দিষ্ট সময়ে ওই ব্যাংকের কার্যক্রমসহ একাধিক বিষয় পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবেচনা করা হবে। এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য হলো- ব্যাংকটি তার টার্গেটের মধ্যে ৫০ শতাংশ পর্যনত্ম কৃষিঋণ বিতরণ করছে কিনা। ব্যাংকটি অতিলোভে শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করেছিল কিনা, কলমানির ওপর নির্ভর করে লেনদেন করছে কিনা এবং সর্বশেষ ব্যাংকের মোট ডিপোজিট রেসিওর তুলনায় অতিরিক্ত ঋণ বিতরণ করেছে কিনা এসব বিষয় ভালভাবেই তদনত্মস্বরূপ যাচাই-বাছাই শেষেই নতুন ব্রাঞ্চ খোলার অনুমতি প্রদান করা হবে। সে ৰেত্রে প্রায় ৩০টি ব্যাংক এ বছর শাখা খোলার লাইসেন্স পাবে না। এর মধ্যে ১২টি ব্যাংক পাবে না কৃষিঋণ বিতরণে ব্যর্থ হওয়ার কারণে। আর অন্য ১৮টি ব্যাংক পাবে না অন্যান্য কারণে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, একাধিক ব্যাংক রয়েছে যারা নতুন শাখা খোলার সময় প্রত্যনত্ম অঞ্চলে গিয়ে মানুষের সেবা প্রদান করবে। পাশাপাশি কৃষি ও ৰুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতে ঋণ বিতরণ করবে। একই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্বিক নিয়ম-কানুন অনুযায়ী ব্যাংকের কার্যক্রম পরিচালনা করবে। কোনভাবেই ব্যাংক কোম্পানি আইন বা বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইডলাইন অমান্য করবে না। কিন্তু সম্প্রতি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একাধিক পরিদর্শনে দেখা গেছে, একাধিক বাণিজ্যিক ব্যাংক রয়েছে যেগুলো প্রতিশ্রম্নতি দিয়ে শাখা খোলার অনুমতি নিলেও বাসত্মবে তা করছে না। এতে ব্যাংকিং খাতে অস্থিরতার সৃষ্টি হচ্ছে। যার দায়ভার বাংলাদেশ ব্যাংকের ওপরই পড়ছে। ফলে এ বছর ব্যাংকের নতুন শাখা খোলার ৰেত্রে ব্যাংকগুলোর সার্বিক কর্মকা- বিবেচনা করেই দেয়া হবে। ব্যাংকগুলোর শাসত্মিস্বরূপ এ সিদ্ধানত্ম নেয়া হয়েছে।
সূত্রে জানা গেছে, দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীকে ব্যাংকিং সেবায় (ফিন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন) অনত্মভর্ুক্ত করার লৰ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো শহরের পাশাপাশি গ্রামেও আনুপাতিকের চেয়ে বেশি করে শাখা খুলছে। সেবার মান উন্নত করারও চেষ্টা চলছে। রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের পাশাপাশি বেসরকারী ব্যাংকগুলো গ্রামাঞ্চলে এগিয়ে যাচ্ছে বলেও বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে তথ্য রয়েছে। কিন্তু বাসত্মবে দেখা গেছে, কৃষিঋণ বিতরণে ১২টি ব্যাংক পিছিয়ে পড়ছে। এর মধ্যে তিনটি ব্যাংক কোন কৃষিঋণ বিতরণ করেনি। বরং শিল্প খাতে বিতরণকৃত ঋণ কৃষি খাতে বিতরণ দেখানোর জন্য কৌশল অবলম্বন করছে। কিন্তু এসব ব্যাংকের চাতুরতা বাংলাদেশ ব্যাংক চিহ্নিত করেছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১২টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গবর্নর মুরশিদ কুলী খান সভাপতিত্ব করেন। এতে ব্যাংকগুলোতে আগামী তিন মাসের মধ্যে টার্গেটের ৫০ শতাংশ পর্যনত্ম ঋণ বিতরণের নির্দেশ দিয়েছে। কোন ব্যাংক এ নির্দেশ অনাম্য করলে সংশিস্নষ্ট ব্যাংকের বিরম্নদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।
গত ৭ মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) ১২টি ব্যাংক সামগ্রিকভাবে ২৫ শতাংশ পর্যনত্ম কৃষিঋণ বিতরণ করতে পারেনি। এছাড়া কিছু ব্যাংক রয়েছে যা জানুয়ারি পর্যনত্ম একটি টাকাও কৃষিখাতে বিতরণ করেনি। এ কারণে ১২টি ব্যাংককে এ বছর নতুন করে শাখা খোলার অনুমতি দেয়া হবে না। এ ১২টির সঙ্গে রয়েছে আরও বাকি ১৮টি ব্যাংক যেগুলো শাখা খুলতে পারবে না। কারণ এসব ব্যাংক কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ অমান্য করে আগ্রাসী ব্যাংকিংয়ের কার্যক্রম পরিচালনা করছে। শাসত্মিস্বরূপ ব্যাংকগুলোর প্রতি এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে সারাদেশে ব্যাংকগুলোর মোট ৭ হাজার ২৪৬টি শাখা রয়েছে। এর মধ্যে শহর এলাকায় রয়েছে ৩ হাজার ৭৭টি এবং গ্রামাঞ্চলে রয়েছে ৪ হাজার ১৬৯ টি। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর ব্রাঞ্চের সংখ্যা রয়েছে মোট ৩ হাজার ৩৯৪টি। এর মধ্যে শহরে রয়েছে ১ হাজার ২৪২টি এবং গ্রামাঞ্চলে রয়েছে ২ হাজার ১৫২টি। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো ব্রাঞ্চ রয়েছে মোট ১ হাজার ৩৬৬টি। এর মধ্যে শহরে রয়েছে ১৫৭টি এবং গ্রামে রয়েছে ১ হাজার ২০৯টি। এছাড়া বেসরকারী ব্যাংকগুলোর মোট ব্রাঞ্চ রয়েছে ২ হাজার ৪২৭টি। এর মধ্যে শহরাঞ্চলে রয়েছে ১ হাজার ৬১৯টি এবং গ্রামাঞ্চলে রয়েছে ৮০৪।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের গবর্নর ড. আতিউর রহমান থেকে শুরম্ন করে সংশিস্নষ্ট কর্মকর্তারা ব্যাংকিং সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পেঁৗছে দিতে বিভিন্ন কার্যক্রম শুরম্ন করেছেন। এরই অংশ হিসেবে শহরের সঙ্গে পালস্না দিয়ে গ্রামাঞ্চলে শাখা খোলা হচ্ছে। ৪:১ (অর্থাৎ শহরে ৪টি খুললে গ্রামে ১টি খুলতে হবে) অনুযায়ী ব্যাংকগুলোর শাখা খোলার কথা থাকলেও অনেকাংশে বেশি খোলা হচ্ছে।
http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=34&dd=2011-03-31&ni=54261
Comments
Post a Comment