ব্যবসা
সম্প্রসারণের প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে প্রকৌশল খাতের তালিকাভুক্ত কোম্পানি
কাসেম ড্রাইসেলস লিমিটেড। প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের কারণে মূল ব্যবসায়
পিছিয়ে পড়ায় নতুন নতুন পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ব্যবসা বহুমুখীকরণের চেষ্টা
করছে কোম্পানিটি। এর অংশ হিসেবে হাই প্রেশার ক্যান প্রস্তুতকারী যন্ত্রপাতি
স্থাপনের কাজ প্রায় শেষ করে ফেলেছে তারা। নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে,
নতুন প্রকল্পে দ্রুতই বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, গত বছরের শুরু থেকেই কোম্পানির ইউনিট-৩-এ হাই প্রেসার ক্যানের প্লান্ট বসানোর কাজ শুরু করে কাসেম ড্রাইসেলস। সম্প্রতি কারখানার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে এয়ারফ্রেশনার, বডি স্প্রে, ডিউডোরেন্ট স্প্রে, হেয়ার স্প্রে ও সেভিং ফোমের মতো পণ্যের জন্য হাই প্রেশার ক্যানের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে কোম্পানিটির। তৃতীয় ইউনিটের অধীনে ফ্লেক্সিবল প্রিন্টিং এবং প্যাকেজ প্রকল্প স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে কোম্পানিটির। এছাড়া ইউনিট-৪-এ ফ্ল্যাশ লাইট উৎপাদন শুরুরও প্রক্রিয়া চলছে। গাজীপুরের বাইমাইলে অবস্থিত কোম্পানির নতুন কারখানায় এসব পণ্য উৎপাদন হবে।
এ বিষয়ে কোম্পানি সচিব এটিএম জাহাঙ্গীর হাসনাতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোম্পানির এক কর্মকর্তা বলেন, গাজীপুরের কারখানায় যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ শেষ
হয়েছে। যেকোনো সময় বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে।
জানা গেছে, প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের কারণে কাসেম ড্রাইসেলসের প্রথম ব্যবসা মেটাল জ্যাকেট ব্যাটারির বাজার ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। ফলে নতুন ব্যাটারি ও ভিন্ন ব্যবসায় মনোযোগী হয়েছে এ কোম্পানি। ১৯৮৩ সালে মেটাল জ্যাকেট ব্যাটারি বাজারজাতের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করে কাসেম ড্রাইসেলস। তখন থেকে মূলত রেডিও, ক্যাসেট প্লেয়ার এবং টর্চলাইটে ব্যবহূত বড় ব্যাটারি প্রস্তুত করত কোম্পানিটি। ১৯৯৩ সালে কোম্পানিটি ছোট আকারের ব্যাটারি উৎপাদন শুরু করে, যা রেডিও, রিমোট কন্ট্রোলার ও ঘড়িতে ব্যবহার উপযোগী। প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের কারণে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারির প্রয়োজনীয়তায় ২০০৬ সাল থেকে ইউএম-৪ নামে নতুন ব্যাটারি আমদানি শুরু করে এ কোম্পানি। বর্তমানে অবশ্য নিজস্ব কারখানাতেই তা উৎপাদন করছে কাসেম ড্রাইসেলস।
তবে এসবেও যথেষ্ট প্রবৃদ্ধি অর্জিত না হওয়ায় মূল ব্যবসার বাইরেও নতুন ব্যবসায় নামে এ কোম্পানি। ব্যাটারি ব্যবসার বাইরে কাসেম ড্রাইসেলস ফ্ল্যাশলাইট ও মেটাল ক্যান উৎপাদন এবং মেটাল প্রিন্টিং শুরু করে। এর বাইরে কাসেম ল্যাপসের গ্যাস লাইটার এবং কাসেম ফুড প্রডাক্টস উৎপাদিত সান চিপস ও বিভিন্ন ধরনের জুস বাজারে বিক্রি করছে তারা। ফলে মূল পণ্যের বিক্রি ও মুনাফা কমলেও কোম্পানিটির নতুন ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
কাসেম ড্রাইসেলসের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব্যবসায় বহুমুখীকরণ ও মোট টার্নওভার বাড়লেও নিট মুনাফায় খুব বেশি প্রবৃদ্ধি হয়নি কাশেস ড্রাইসেলসের। গত পাঁচ বছরে এ কোম্পানির টার্নওভার ৮০ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে। বিপরীতে নিট মুনাফা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির মূল পণ্যের টার্নওভার কমলেও নতুন ব্যবসা সম্প্রসারণে টার্নওভার বেড়েছে। গত পাঁচ বছরে কোম্পানির প্রথম পণ্য মেটাল জ্যাকেটের বিক্রি কমেছে ৬৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। ২০১১ সালে এর ইউএম-১ ব্যাটারির টার্নওভার ছিল ৩১ কোটি ৮১ লাখ টাকা, ২০১৫ সালে যা ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকায় নেমে আসে। তবে আধুনিক ব্যাটারি এবং অন্য পণ্যের বিক্রি ও মুনাফা বেড়েছে। এ সময়ে ছোট আকারের ইউএম-৩ ব্যাটারির বিক্রি ৬৮ শতাংশ ও ইউএম-৪-এর বিক্রি ৭০ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ফ্ল্যাশ লাইটে ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ ও গ্যাস লাইটারে ৮৫ শতাংশ বিক্রি বেড়েছে।
সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৫ হিসাব বছরে আগের বছরের তুলনায় টার্নওভার কমলেও কাসেম ড্রাইসেলসের নিট মুনাফা ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে। মূলত জ্যাকেট ব্যাটারির উৎপাদন খরচ ও পরিচালন ব্যয় কমিয়ে দেয়ায় এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছে কোম্পানি সূত্র। এছাড়া সান চিপস বাজারজাতের মাধ্যমেও নিট মুনাফায় অগ্রগতি হয়েছে। ২০১৫ সালে কাসেম ড্রাইসেলসের ৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা নিট মুনাফা হয়, ২০১৪ সালে যা ছিল ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
এদিকে ২০১৫-১৬ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কাসেম ড্রাইসেলসের মুনাফা বেড়েছে। জুলাই-মার্চ সময়ে এর শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৩৬ পয়সা। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৮ পয়সা।
পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, গত বছরের শুরু থেকেই কোম্পানির ইউনিট-৩-এ হাই প্রেসার ক্যানের প্লান্ট বসানোর কাজ শুরু করে কাসেম ড্রাইসেলস। সম্প্রতি কারখানার কাজ শেষ হয়েছে বলে জানা গেছে। সেখানে এয়ারফ্রেশনার, বডি স্প্রে, ডিউডোরেন্ট স্প্রে, হেয়ার স্প্রে ও সেভিং ফোমের মতো পণ্যের জন্য হাই প্রেশার ক্যানের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে কোম্পানিটির। তৃতীয় ইউনিটের অধীনে ফ্লেক্সিবল প্রিন্টিং এবং প্যাকেজ প্রকল্প স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে কোম্পানিটির। এছাড়া ইউনিট-৪-এ ফ্ল্যাশ লাইট উৎপাদন শুরুরও প্রক্রিয়া চলছে। গাজীপুরের বাইমাইলে অবস্থিত কোম্পানির নতুন কারখানায় এসব পণ্য উৎপাদন হবে।
এ বিষয়ে কোম্পানি সচিব এটিএম জাহাঙ্গীর হাসনাতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কোম্পানির এক কর্মকর্তা বলেন, গাজীপুরের কারখানায় যন্ত্রপাতি স্থাপনের কাজ শেষ
হয়েছে। যেকোনো সময় বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হবে।
জানা গেছে, প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের কারণে কাসেম ড্রাইসেলসের প্রথম ব্যবসা মেটাল জ্যাকেট ব্যাটারির বাজার ক্রমেই সংকুচিত হচ্ছে। ফলে নতুন ব্যাটারি ও ভিন্ন ব্যবসায় মনোযোগী হয়েছে এ কোম্পানি। ১৯৮৩ সালে মেটাল জ্যাকেট ব্যাটারি বাজারজাতের মাধ্যমে ব্যবসা শুরু করে কাসেম ড্রাইসেলস। তখন থেকে মূলত রেডিও, ক্যাসেট প্লেয়ার এবং টর্চলাইটে ব্যবহূত বড় ব্যাটারি প্রস্তুত করত কোম্পানিটি। ১৯৯৩ সালে কোম্পানিটি ছোট আকারের ব্যাটারি উৎপাদন শুরু করে, যা রেডিও, রিমোট কন্ট্রোলার ও ঘড়িতে ব্যবহার উপযোগী। প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের কারণে উচ্চক্ষমতাসম্পন্ন ব্যাটারির প্রয়োজনীয়তায় ২০০৬ সাল থেকে ইউএম-৪ নামে নতুন ব্যাটারি আমদানি শুরু করে এ কোম্পানি। বর্তমানে অবশ্য নিজস্ব কারখানাতেই তা উৎপাদন করছে কাসেম ড্রাইসেলস।
তবে এসবেও যথেষ্ট প্রবৃদ্ধি অর্জিত না হওয়ায় মূল ব্যবসার বাইরেও নতুন ব্যবসায় নামে এ কোম্পানি। ব্যাটারি ব্যবসার বাইরে কাসেম ড্রাইসেলস ফ্ল্যাশলাইট ও মেটাল ক্যান উৎপাদন এবং মেটাল প্রিন্টিং শুরু করে। এর বাইরে কাসেম ল্যাপসের গ্যাস লাইটার এবং কাসেম ফুড প্রডাক্টস উৎপাদিত সান চিপস ও বিভিন্ন ধরনের জুস বাজারে বিক্রি করছে তারা। ফলে মূল পণ্যের বিক্রি ও মুনাফা কমলেও কোম্পানিটির নতুন ব্যবসায় প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
কাসেম ড্রাইসেলসের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, ব্যবসায় বহুমুখীকরণ ও মোট টার্নওভার বাড়লেও নিট মুনাফায় খুব বেশি প্রবৃদ্ধি হয়নি কাশেস ড্রাইসেলসের। গত পাঁচ বছরে এ কোম্পানির টার্নওভার ৮০ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে। বিপরীতে নিট মুনাফা বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। আলোচ্য সময়ে কোম্পানির মূল পণ্যের টার্নওভার কমলেও নতুন ব্যবসা সম্প্রসারণে টার্নওভার বেড়েছে। গত পাঁচ বছরে কোম্পানির প্রথম পণ্য মেটাল জ্যাকেটের বিক্রি কমেছে ৬৭ দশমিক ৭০ শতাংশ। ২০১১ সালে এর ইউএম-১ ব্যাটারির টার্নওভার ছিল ৩১ কোটি ৮১ লাখ টাকা, ২০১৫ সালে যা ১০ কোটি ২৭ লাখ টাকায় নেমে আসে। তবে আধুনিক ব্যাটারি এবং অন্য পণ্যের বিক্রি ও মুনাফা বেড়েছে। এ সময়ে ছোট আকারের ইউএম-৩ ব্যাটারির বিক্রি ৬৮ শতাংশ ও ইউএম-৪-এর বিক্রি ৭০ শতাংশ বেড়েছে। এছাড়া ফ্ল্যাশ লাইটে ১২ দশমিক ৫১ শতাংশ ও গ্যাস লাইটারে ৮৫ শতাংশ বিক্রি বেড়েছে।
সর্বশেষ প্রকাশিত আর্থিক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০১৫ হিসাব বছরে আগের বছরের তুলনায় টার্নওভার কমলেও কাসেম ড্রাইসেলসের নিট মুনাফা ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ বেড়েছে। মূলত জ্যাকেট ব্যাটারির উৎপাদন খরচ ও পরিচালন ব্যয় কমিয়ে দেয়ায় এমনটি হয়েছে বলে জানিয়েছে কোম্পানি সূত্র। এছাড়া সান চিপস বাজারজাতের মাধ্যমেও নিট মুনাফায় অগ্রগতি হয়েছে। ২০১৫ সালে কাসেম ড্রাইসেলসের ৫ কোটি ৫৭ লাখ টাকা নিট মুনাফা হয়, ২০১৪ সালে যা ছিল ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
এদিকে ২০১৫-১৬ হিসাব বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কাসেম ড্রাইসেলসের মুনাফা বেড়েছে। জুলাই-মার্চ সময়ে এর শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭৯ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ১ টাকা ৩৬ পয়সা। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে ইপিএস হয়েছে ৩৩ পয়সা, আগের বছরের একই সময়ে যা ছিল ২৮ পয়সা।
সোর্স : http://bonikbarta.com/
Comments
Post a Comment