রেমিটেন্স বৃদ্ধি জিডিপি বাড়াতে পারছে না ০ মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমবাজার সঙ্কুচিত হচ্ছে ০ মধ্যপ্রাচ্যবহির্ভূত দেশগুলো থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ছে

বাংলাদেশে রেমিটেন্সের পরিমাণ বাড়ছে ক্রমহ্রাসমান হারে। ফলে রেমিটেন্সে প্রবৃদ্ধির হার জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারকে বাড়াতে পারছে না। মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমবাজার সঙ্কুচিত হচ্ছে, যা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য আশঙ্কাজনক। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বাংলাদেশের শ্রমিক বহির্গমন ও রেমিটেন্স প্রবাহের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্য থেকে রেমিটেন্স কমে যাবার আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে মধ্যপ্রাচ্য বহির্ভূত দেশগুলো থেকে রেমিটেন্স প্রবাহ বাড়ছে।
গবেষণা সংস্থা উন্নয়ন অন্বেষণের সেপ্টেম্বর মাসে প্রতিবেদনে একথা বলা হয়েছে। সংস্থাটির
গবেষণা অনুযায়ী প্রকৃত রেমিটেন্স প্রবাহ ও মধ্যমেয়াদী সামষ্টিক অর্থনৈতিক কাঠামো অনুযায়ী সরকারের রেমিটেন্স প্রবাহের লৰ্যমাত্রার মধ্যে দিনের পর দিন পার্থক্য বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং সামনের বছরগুলোতে আরও বৃদ্ধি পাবে। ২০১০-১১ অর্থবছরে সরকারের লৰ্যমাত্রা ছিল ১৪শ' কোটি মার্কিন ডলার, যেখানে প্রকৃত রেমিটেন্স এসেছে মাত্র ১১শ' ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার। রেমিটেন্স প্রবাহের এই ধারা চলতে থাকলে ২০১৪-১৫ অর্থবছর নাগাদ প্রকৃত রেমিটেন্স প্রবাহ ও সরকারের লৰ্যমাত্রার মধ্যে পার্থক্য দাঁড়াবে ১৬শ' ০৯ কোটি মার্কিন ডলার এবং রেমিটেন্স প্রবৃদ্ধির হারে পার্থক্য দাঁড়াবে ১৬.৩৮ শতাংশ।
২০০৯-১০ অর্থবছরের পর থেকে জিডিপিতে রেমিটেন্সের শতকরা হার কমতে শুরু করেছে। এই কমার হার অব্যাহত থাকলে ২০১১-১২ অর্থবছরে জিডিপিতে রেমিটেন্সের শতকরা হার হবে মাত্র ৯.৯৮ শতাংশ, যা ২০০৯-১০ এ ছিল ১০.৯৫ শতাংশ।
রেমিটেন্সে প্রবৃদ্ধির হার জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারকে বাড়াতে পারছে না। কারণ ২০০৩-০৪ অর্থবছর থেকে মুদ্রাস্ফীতির হার জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার থেকেও বেশি, যা জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারকে ব্যাহত করছে। এই ধারা অব্যাহত থাকলে ২০১৪-১৫ অর্থবছরে উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির চাপে রেমিটেন্সও জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার হবে যথাক্রমে ৬.৬২ শতাংশ ও ৫.৪৬ শতাংশ।
রফতানি আয় বাড়লেও রফতানি আয়ে রেমিটেন্সের শতকরা হার কমছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে এই হার ৬৭.৮ শতাংশ থাকলেও ২০১০-১১ অর্থবছরে তা মাত্র ৫০.৮২ শতাংশ। ২০১০-১১ অর্থবছরে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় রেমিটেন্স ৯.০৪ শতাংশ বাড়লেও রিজার্ভ বেড়েছে মাত্র ১.৫০ শতাংশ।
যে কোন দেশের অর্থনীতিতে চলতি হিসাবের ভারসাম্য সৃষ্টির জন্য রেমিটেন্স গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ২০১০-১১ অর্থবছরে চলতি হসত্মানত্মর ১২শ' ০৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলারের মধ্যে রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ১১শ' ৬৫ কোটি মার্কিন ডলার। কিন্তু বাণিজ্য ঘাটতি অতিরিক্ত বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের চলতি হিসাবের ওপর চাপ ক্রমাগত বেড়ে চলছে। চলতি হিসাবের ভারসাম্য ২০০৯-১০ অর্থবছরের তুলনায় ২০১০-১১ অর্থবছরে ৭৩.২৮ শতাংশ কম। শুধুমাত্র ২০১০-১১ অর্থবছরেই বাণিজ্য ঘাটতি বৃদ্ধির হার ৪২.২০ শতাংশ।
যে কোন দেশের অর্থনীতির জন্য নূ্যনতম তিন মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ থাকা প্রয়োজন। ২০০৯-১০ অর্থবছরে যা ছিল ৫.১ মাসের রিজার্ভ, তা ২০১০-১১ অর্থবছরে কমে দাঁড়িয়েছে ৩.৬ মাসের রিজার্ভে। যদি বর্তমান ক্রমবর্ধমান হারে আমদানির রফতানির হারের তুলনায় হার বাড়তে থাকে এবং দেশীয় মুদ্রার অবমূল্যায়ন হতে থাকে তবে ২০১৪-১৫ অর্থবছর নাগাদ মাত্র ৩.২ মাসের আমদানি ব্যয়ের সমান রিজার্ভ সংরৰণ করা সম্ভব হবে।
ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন হচ্ছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে ডলারের বিপরীতে টাকার বিনিময় হার ৭০.৪৮ টাকা, যা ২০০৯-১০ এ ছিল ৬৯.১৯ টাকা। বর্তমানে এই হার দাঁড়িয়েছে ৭৫.২০। আনত্মর্জাতিক বাজারে খাদ্য পণ্যসহ জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি এবং অন্যান্য আমদানি বৃদ্ধি, বিশেষ করে নতুন বিদু্যত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য বিদেশ থেকে যন্ত্রপাতি আমদানি ও বিদু্যত কেন্দ্রের জন্য জ্বালানি তেলের আমদানি বৃদ্ধি প্রভৃতি কারণে বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। ফলে ডলারের বিপরীতে টাকার অবচিত হচ্ছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতিতে রেমিটেন্সের তুলনায় বৈদেশিক সাহায্যের অবদান সামান্য। বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে ২০১৪-১৫ অর্থবছর নাগাদ রেমিটেন্সের পরিমাণ হবে ১৫শ' ৩০ কোটি ৯৯ লাখ ৯৬ হাজার মার্কিন ডলার, যেখানে নিট বৈদেশিক সাহায্য আসার সম্ভাবনা মাত্র ১০৬ কোটি ৬৬ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার।
রেমিটেন্সের বৃদ্ধির হার মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার কারণ আমাদের দেশের বেশিরভাগ অদৰ ও স্বল্পদৰ শ্রমিক যে রেমিটেন্স পাঠায় তার বেশিরভাগই মূলধনী দ্রব্য ক্রয়ে ব্যয় না হয়ে ভোগ্যপণ্য ক্রয়ে ব্যয় হয়। মোট প্রাপ্ত রেমিটেন্সের ৪৩ শতাংশ ব্যয় হয় খাদ্য দ্রব্য ক্রয়ে, যেখানে মাত্র ১৯.২ শতাংশ ব্যয় হয় নগদ সঞ্চয়ে এবং ৬.৪ শতাংশ ব্যয় হয় ব্যবসায় বিনিয়োগে।
২০১০-১১ অর্থবছরে বাংলাদেশের বিশ্বের সপ্তম রেমিটেন্স গ্রহীতা দেশ। বিশ্ব মন্দা ও মধ্যপ্রাচ্যের রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে শ্রমবাজার সঙ্কুচিত হওয়ায় শ্রমিক বহির্গমনের হার কমছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে মোট সাড়ে চার লাখ শ্রমিক বহির্গমন করেছে, যা বিগত অর্থবছর থেকে মাত্র ৬.০৪ শতাংশ বেশি। যদি দ্রম্নত নতুন শ্রমবাজার খোঁজা না হয়, তবে ২০১৪-১৫ অর্থবছর নাগাদ শ্রমিক বহির্গমনের গড় হার কমে দাঁড়াবে মাত্র ৪ শতাংশে।
বাংলাদেশের শ্রমিক বহির্গমনের উচ্চ মাত্রায় দেশভিত্তিক। মধ্যপ্রাচ্যের সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা বাংলাদেশের শ্রমিক বহির্গমন ও রেমিটেন্স প্রবাহের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো থেকে প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের পরিমান ৭২১ কোটি ৫৫ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বিগত অর্থবছর থেকে ০.১০ শতাংশ কম। অন্যদিকে মধ্যপ্রাচ্য বহির্ভূত দেশগুলো থেকে রেমিটেন্স প্রাপ্তির পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে মধ্যপ্রাচ্য বহিভর্ূত দেশগুলো থেকে রেমিটেন্স প্রাপ্তির পরিমাণ ৪,৪৩ কোটি ৪৭ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার, যা বিগত অর্থবছর থেকে ১৭.৮০ বেশি।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের সংখ্যা প্রসঙ্গে বলা হয়, বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিৰণ বু্যরোর রিপোর্ট অনুযায়ী বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানির হার দিন দিন কমছে। ২০০৭-০৮ অর্থবছর জনশক্তি রফতানির পরিমাণ ছিল সর্বোচ্চ যার পরিমাণ ৯,৮১,০০০ জন, পরবতর্ীতে কমতে শুরম্ন করেছে। ২০১০ সালে মোট ৩,৯১,০০০ বাংলাদেশী নাগরিক কাজের সন্ধানে বিদেশ গমন করেছে। বৈশ্বিক মন্দা ও অর্থনৈতিক সঙ্কটে মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের জনশক্তি, রফতানিতে বিরূপ প্রভাব পড়ে। মন্দাপরবর্তী সময়ে এসব দেশে অর্থনৈতিক কর্মকা- জোরালো হলেও সম্প্রতি উত্তর আফ্রিকার দেশসমূহে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট এবং মধ্যপ্রাচ্যের ব্যাপ্তি জনশক্তি রফতানির ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলেছে। ২০১০-১১ অর্থবছরের ১ম ১০ মাসে (এপ্রিল '১১ পর্যনত্ম) ৩.৪২ লাখ লোক বিদেশ গমন করেছে, যা বিগত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৪.৮৩ শতাংশ কম।
শ্রেণীভিত্তিক জনশক্তি রফতানি প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত বছরগুলোতে পেশাজীবী, দৰ ও আধা দৰ জনশক্তি রফতানির পরিমাণ উলেস্নখযোগ্য হারে কমেছে। অন্যদিকে স্বল্পদৰ জনশক্তি রফতানির পরিমাণ বেড়েছে। ২০০০ সালে পেশাজীবী দৰ ও আধাদৰ জনশক্তি রফতানির পরিমাণ ছিল ৪.৭৯ শতাংশ, ৪৪.৭২ শতাংশ ও ১১.৪৯ শতাংশ এবং স্বল্প দৰ জনশক্তি রফতানির পরিমাণ ৩৮.৬০ শতাংশ কিন্তু ২০১০ সালে পেশাজীবী ০.১ শতাংশ দৰ ২৩.১৯ শতাংশ আধাদৰ ৩.১৯ শতাংশ এবং স্বল্পদৰ ৭৩.৫২ শতাংশ। ভবিষ্যতে দৰ আধাদৰ জনশক্তি রফতানির পরিমাণ আরও কমে যেতে পারে যা আশঙ্কাজনক।
রেমিটেন্সের প্রবাহ প্রসঙ্গে প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত বছরগুলোতে রেমিটেন্সের প্রবাহ থেকে দেখা যায় বাংলাদেশে রেমিটেন্সের পরিমাণ বাড়ছে ক্রমহ্রাসমান হারে। ২০১০-১১ অর্থবছরে রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ৮২,৯৯২.৮৯ কোটি টাকা, যা পূর্ববতর্ী একই সময়ের তুলনায় ৯.০৪ শতাংশ বেশি। অথচ ২০০৯-১০ অর্থবছরে এই বৃদ্ধির হার ছিল ১৪.১৫ শতাংশ। ২০১০ সালে ১৮ ডিসেম্বর তিউনিশিয়ায় রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি হয়েছে, যা জেসমিন বিপস্নব নামে পরিচিত। এর ফলে মধ্যপ্রাচ্যে শ্রমবাজার সঙ্কুচিত হচ্ছে, যা অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির জন্য আশঙ্কাজনক।
বর্তমান সময়ে স্বল্পদৰ জনশক্তির রফতানির পরিমাণ বাড়ছে। আফ্রিকার দেশসমূহে বর্তমানে কৃষি জমি চাষাবাদের জন্য প্রচুর শ্রমিক দরকার। নতুন শ্রমবাজার হিসেবে ইরাক, রম্নমানিয়া, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, পাপুয়ানিউগিনি, রাশিয়া, কানাডা, সুইডেন, সুদান, গ্রীস, কঙ্গো ইত্যাদি দেশ প্রচুর সম্ভাবনাময়।
সামষ্টিক অর্থনীতির উপাদানগুলোর ওপর রেমিটেন্সের প্রভাব প্রসঙ্গে বলা হয়, বিগত বছরগুলোতে মোট দেশজ উৎপাদনের রেমিটেন্সের শতকরা হার বেড়েছে। কিন্তু ২০১০-১১ অর্থবছরে জিডিপিতে রেমিটেন্সের শতকরা পরিমাণ কমে ১০.৪৫ শতাংশ হয়। চলমান অর্থনীতির ধারা অব্যাহত থাকলে ২০১১-১২ অর্থবছরে জিডিপিতে রেমিট্যান্সের শতকরা হার কমে হবে ৯.৯৮ শতাংশ।
বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত জনশক্তির বেশিরভাগই অদৰ ও স্বল্পদৰ। তারা বিদেশ থেকে যে অর্থ প্রেরণ করে তার বেশির ভাগই মৌলিক ভোগ্য পণ্য ক্রয়ে ব্যয় হয়। বিশ্ব ব্যাংক থেকে প্রকাশিত এক রিপোর্টে দেখা গেছে, মোট আয়ের ৪৩ শতাংশ খাদ্য দ্রব্যে, নগদ অর্থ সঞ্চয়ে ১৯ শতাংশ বাসত্মবায়ন সম্পর্কিত ব্যয়ে ১০ শতাংশ এবং ৮ শতাংশ শিৰা খাতে ব্যয় করে। অর্থাৎ রেমিট্যান্স প্রবাহের সাথে অর্থনীতিতে অর্থের যোগান বাড়ছে, ভোগ বাড়ছে এবং সামগ্রিক দামসত্মর বাঁড়ছে বা মুদ্রাস্ফীতি বাঁড়াচ্ছে।
২০০৯-১০ অর্থবছরের রিজার্ভ পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৪৩.৮৯ শতাংশ বৃদ্ধি পায় যা দিয়ে ৫.৪ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব ছিল। ভবিষ্যতে রেমিটেন্স প্রবাহের বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে রিজার্ভের পরিমান বাড়বে। কিন্তু চলমান অর্থনীতির ধারার সাথে যদি বাণিজ্য ঘাটতি ও এভাবে থাকে তাহলে ২০১৪-১৫ অর্থবছর নাগাদ মাত্র ৩.২ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ রিজার্ভ রাখা সম্ভব হবে। আমদানি ব্যয় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়ন ঘটছে যা আগস্টে ডলার প্রতি ৭৪.৬৯ টাকা দাঁড়ায়।
রেমিটেন্সে সঙ্গে তুলনা করলে বৈদেশিক সাহায্যের অবদান বাংলাদেশের অর্থনীতিতে খুবই নগণ্য। ২০১০-১১ সালে নিট বৈদেশিক সাহায্য ছিল ১০৪৯.৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার যেখানে রেমিটেন্সের পরিমাণ ১১৬৫০.৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।


http://www.dailyjanakantha.com/news_view.php?nc=34&dd=2011-09-30&ni=72396

Comments